লন্ডনে গবেষণা স্মারকগ্রন্থ কালের অভিজ্ঞানের মোড়ক উম্মোচন
স্থানীয় সরকারের সার্কেল পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ও সরপঞ্চ পদ্ধতি নিয়ে সাংবাদিক গবেষক মতিয়ার চৌধুরী সম্পাদিত গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘কালের অভিজ্ঞানের’ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮জুলাই ২০২৫) লন্ডন সময় সন্ধ্যা ছয় ঘটিকায় পূর্বলন্ডনের ভ্যালেন্স রোডের একটি রেস্টুরেন্টে গ্রন্থের সম্পাদনা পর্ষদের সদস্য লেখক গবেষক শাহ আতিকুল হক কামলীর সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক গবেষক দেওয়ান গৌস সুলতান।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবেষক ও বহুগ্রন্থ প্রণেতা ফারুক আহমদ , লেখক ও ইতিহাস বিষয়ক গবেষক ডা. গিয়াস উদ্দিন আহমদ ও কবি হাসিবা মুন।
ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ডক্টর আনসার আহমেদ উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রন্থের সম্পাদক সাংবাদিক গবেষক মতিয়ার চৌধুরী।
গ্রন্থ থেকে সরপঞ্চ অধ্যায়ের উপর পাঠ করেন বাচিক শিল্পী মুনিরা পারভিন এবং ঢাকা বিভাগের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সীর শ্রীহট্রের রাজস্ব জিলা ও পরগনা অধ্যায় থেকে পাঠ করেন সাংস্কৃতিক কর্মি স্মৃতি আজাদ, গ্রন্থের সম্পাদকীয় অধ্যায় থেকে আলোকপাত করেন সম্পাদনা পর্ষদের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া।
গ্রন্থের উপর আলোচনায় আরো অংশ নেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক মেয়র আকিকুর রহমান, রাজনীতিবিদ শাহ জাহান আহমদ, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সেক্রেটারি মিজানুর রহমান মীরু, স্বদেশবিদেশ সম্পাদক সাংবাদিক বাতিরুল হক সরদার, গবেষক দেলওয়ার রহমান চৌধুরী, কবি অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক মনি, সাবেক ফুটবলার জোবায়ের আহমদ হামজা, লন্ডনে দীগলবাক ইউনিয়ন ডেভল্যাপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এম. এ. মতিন, সাংবাদিক ড. আজিজুল আম্বিয়া, সাংবাদিক কামরুল আই রাসেল, সাংবাকি সেজু মিয়া, নারী নেত্রী আনজুমান আরা আঞ্জু, অ্যাডভোকেট সফিক উদ্দিন আহমদ,কবি নোমান আহমদ, হামজা রহমান, মাজিদুর চৌধুরী প্রমুখ।
গবেষণা মূলক গ্রন্থটি মোগল আমল থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমলের ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগের স্থানীয় সরকারের সার্কেল পদ্ধতির উপর রচিত। এতে সিলেট বিভাগের মোট ১২০জন সরপঞ্চ ও সহকারী সরপঞ্চের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
এতে আরো উঠে এসেছে প্রাচীন আমলে সিলেট অঞ্চলের পরগনা সমূহের বিবরণ ও মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে সিলেটের দশটি রাজস্ব জিলার বিবরণ ও সীমানা।
গ্রন্থটি মূলত নবীগঞ্জের তৎকালীন ৩৯নং সার্কেলের দুই সহোদর পরপঞ্চ শ্রীমান সনাতন দাস ও শ্রীমান দীননাথ দাসের জীবন ও কর্মের উপর রচিত। আলোচকরা বলেন এটি একটি মূল্যবান দলিল এতে ইতিহাসের অনেক অজানা অধ্যায় উঠে এসেছে। গ্রন্থটি ভবিষ্যৎ গবেষকদের জন্য একটি সহায়ক গ্রন্থ। গ্রন্থের সম্পাদক ও তার টিমের প্রতি রইলো আমাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন। গ্রন্থটির নাম করন সার্থক হয়েছে। আভিধানিকভাবে এর অর্থ দাঁড়ায় কাল শব্দের অর্থ ‘সময়‘ অভিজ্ঞান শব্দের অর্থ ‘নিদর্শন‘ এর অর্থ সময়ের নিদর্শন বা স্মারক।
গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন প্রবীণ সাংবাদিক গবেষক মতিয়ার চৌধুরী, সম্পাদনা পর্ষদের সদস্যরা হলেন লেখক সাংবাদিক শাহ আতিকুল হক কামালী, কবি সাংবাদিক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লেখক গবেষক সামসুল আমিন, সংগঠক জার্নেল চৌধুরী, সাংবাদিক গীতিকার মুজিবুর রহমান মুজিব, লেখক গবেষক রত্নদীপ দাস রাজু। এতে লিখেছেন সিলেটের প্রবীণ সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক সিলেট জেলা প্রেসক্লাব ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন ইমজা‘র সাবেক সভাপতি আল আজাদ, প্রকৌশলী ও বহুগ্রন্থ প্রণেতা শ্রীচৈতন্য গবেষণা কেন্দ্রের সম্পাদক মনোজ বিকাশ দেবরায়, সিলেটের শতবর্ষী ব্যক্তিত্ব মুকুন্দ্র চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র চন্দ্র দাস, কবি গল্পকার ও শিশু সাহিত্যিক পৃথৃীশ চক্রবর্তি। গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ড. শরদিন্দু ভট্রচার্জ।
Chife Editor: Md. Sadiqur Rahman Rumen
© All rights reserved