স্থানীয় সরকারের সার্কেল পঞ্চায়েত এবং সরপঞ্চদের উপর স্মারকগ্রন্থ “কালের অভিজ্ঞান” এর মোড়ক উন্মোচন।
ব্রিটিশ শাসনামলে নবীগঞ্জ থানার (বর্তমান সিলেট বিভাগ) ৩৯ নম্বর সার্কেল পঞ্চায়েতের সরপঞ্চ শ্রীমান সনাতন-দীননাথ দাস এবং ব্রিটিশ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের স্মারকগ্রন্থ ‘কালের অভিজ্ঞান’-এর মোড়ক উন্মোচন বই বিতরণ এবং পাঠ প্রতিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) ২০২৫ বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার মুক্তাহার গ্রামের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস পাঠাগার’-এর সনাতন-দীনানাথ পাঠকক্ষে সনাতন-দীননাথ কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি এবং অবসরপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক রত্না দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি কলেজ পরিদর্শক মো. শোয়েব আহমেদ। সভার শুরুতে শ্রীমান সনাতন দাস এবং শ্রীমান দীননাথ দাসের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সনাতন-দীননাথ কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক রত্নদীপ দাস (রাজু) এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ৭ নম্বর করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছাইম উদ্দিন, দিনারপুর কলেজের অধ্যক্ষ তনুজ রায়, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের গ্রন্থাগারিক মো. মোতাহের তরফদার, হাজী আনজব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল করিম চৌধুরী জানু, নবীগঞ্জ উপজেলা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কাঞ্চন বণিক, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিওজিআইপি) শাকিল আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগারের উপদেষ্টা শ্রী রাসমোহন দাস, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আইডিয়াল ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সলিল বরণ দাস, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম.এম মুজিবুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন – শ্রীমান সনাতন দাস এবং শ্রীমান দীননাথ দাস তাদের জীবনের একটি বিরাট অংশ জনসেবায় ব্যয় করেছিলেন। স্থানীয় সরকারের সার্কেল পঞ্চায়েতের সরপঞ্চ হিসেবে তাদের ভূমিকা, স্বদেশী আন্দোলন এবং এলাকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে তাদের ভূমিকা তাদের ব্যক্তিত্বকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এই মহান কর্মকান্ড সনাতন-দীননাথ ভাইদের অমর করে তুলেছে।সেই কারণেই পার্থিব মৃত্যুর এত বছর পরেও তারা তাদের নিজস্ব মহিমায় বেঁচে আছেন।
উল্লেখ্য, স্মারক গ্রন্থ ‘কালের অভিজ্ঞান’ এর সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক মতিয়ার চৌধুরী একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক ও গবেষক। সম্পাদকমণ্ডলীর অপরাপর সদস্যরা হলেন- লেখক, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শাহ আতিকুল হক কামালী, কবি ও সাংবাদিক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, তরুণ লেখক গবেষক, শামসুল আমিন, সংগঠক ও সমাজকর্মী জার্নেল চৌধুরী জনি, সাংবাদিক ও গীতিকার মুজিবুর রহমান মুজিব, লেখক ও গবেষক রত্নদীপ দাস রাজু। শ্রীমান সনাতন দাস এবং শ্রীমান দীননাথ দাসের জীবনী ছাড়াও, উক্ত স্মারকগ্রন্থে বৃহত্তর সিলেটের ১২০টি সার্কেল পঞ্চায়েত এবং তাদের সরপঞ্চ এবং সহকারী সরপঞ্চ (সরপঞ্চায়েত/সদস্য) এর সংক্ষিপ্ত জীবনীও রয়েছে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান এবং সরপঞ্চদের জীবনী নিয়ে এর আগে এমন কোনও বই প্রকাশিত হয়নি। স্মারক গ্রন্থ কালের অভিজ্ঞান বৃহত্তর সিলেটের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার, ইতিহাসের এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে, এবং ভবিষ্যৎ গবেষকদের কাছে একটি আঁকড়গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হবে। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাজল দাস, লাইব্রেরি বোর্ড সদস্য গৌতম দাস, পাঠক ফোরামের সভাপতি দেবাশীষ দাস রতন, সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ দাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয় দাস, সদস্য সাগর দাস, জনি দাস, অনিক দাস, গোপাল দাস জিৎ, দীপ শেখর দাস, ক্রীড়া ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রিপন দাস প্লাবন এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার পাঠকরা।