POET: ILEANA PASCU.

ROMANIA.

কবি: ইলিয়ানা পাস্কু

১.

আমার দেশ

এখানে আমার পরিবারের ঘর, কাঠ এবং চারণভূমি দিয়ে ঘেরা!

আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি যা ভাঙে পাহাড়ে,

উপত্যকার মধ্য দিয়ে সূর্য হেলে পড়ছে!

সোনার গলদ ঘূর্ণায়মান

পৃথিবীর ফলের উপরে

যে বাতাসে আমি সকালে শ্বাস নিই!

মিষ্টি ও নোনতা পানি

যে শরৎকালে কাঁদে

এর নীল সালফার জল

এখানে কালো সোনা কয়লার খনি, তেলের খনি আছে!

এর পাহাড় থেকে নেমে আসা গান

এবং ঈগল যে পাহাড় চূড়া আরোহণ করে!

এখানে কবিতার যাদুঘর আছে, এটি আমার শান্তির মরূদ্যান!

যেখানে জীবন পেয়েছি

প্রেমের কম্পনের প্রতিধ্বনি এখানে!

প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আমরা বসত করি! আমাদের ভালোবাসার একটি বাড়ি একটি দেশ! একটি ভূখণ্ড, আমার রোমানিয়া!

২.

রোমানিয়ান ভাষা

রোমানিয়ান বক্তৃতা, পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি

চারটি দর্শনে, তা বায়ু দ্বারা প্রবাহিত এবং বহন করা হয়!

মূল্যবান শব্দ, সব ভাষার মসৃণ, সুরেলা কণ্ঠ, আত্মাকে সান্ত্বনা দেয়

এটা সকালের চিন্তা, এটা রাতের স্বপ্ন

এটি ব্যথা এবং আকাঙ্ক্ষার ফিসফিস করে কান্না

এটি পৃথিবীতে সুখ এবং ভালবাসার কণ্ঠস্বর

আমাদের পৃথিবীতে যা আছে তা হল আরও মূল্যবান এবং পবিত্র

এমিনেস্কুর বেহালা পাহাড়ের চূড়া থেকে বেজে ওঠে

 প্রেমীদের মধ্যে, এমিনেস্কুর, গান

 ঠাকুরমার মুখ থেকে, শোনা ক্যাঙ্গারুর গল্প

তবে বলা হলো, ভাষা আমাদের প্রিয়

পৃথিবীর যে কোন জায়গায় আমরা মাইক্রোফোন দিয়ে বলি

আমরা এটি আমাদের হৃদয়ে বহন করি, একটি নির্দিষ্ট সম্মানের সাথে

প্রাচীনতম, ত্রুটিহীন

রোমানিয়ান ভাষা, আমাদের হৃদয়মুখের জন্য খাদ্য!

আমরা আমাদের ঠোঁটে এটি পরিধান করি, যেখানেই যাই

কানের পর্দায় সুড়সুড়ি দেয়, আনন্দ উপচে পড়ে

 যেহেতু এটি একটি উত্তরাধিকার!

আমরা এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাই

রোমানিয়ার ছেলে মেয়ে সকলে তার সমান ভাগের অংশীদার।

৩.

স্থানীয় গ্রামের তারকা

দিনে এবং রাতে এটি উজ্জ্বলভাবে জ্বলে
নুন দিয়ে কপাল ভিজিয়েছে পাহাড়!
গাছপালা সাহসের সাথে তার মাথায় বহন করে
বেশ কয়েকটি ঝরনায় জল কাঁদছে!
পৃথিবী কালো সোনায় আবৃত
গভীরতা থেকে পাম্প করা শিরায় যা প্রবাহিত হয়
তৃণভূমি সমগ্র ঘেরা বরাবর প্রসারিত
সূর্য পুরানো বালি গরম করে!

সালফারযুক্ত জল পৃথিবীকে রাঙিয়ে দেয়
এবং এটি স্পর্শ করে সবকিছু নিরাময় করে
নোনা জল বাতাস দ্বারা দ্রবিভূত করা হয়
মিষ্টি জলের দিকে এক হাত উতরাই!

শক্তিশালী স্তরযুক্ত তারকা সমর্থন করে
সবুজ শাকে পুরো থালাভর্তি
সাথে ফলের গাছ আর লতাগুল্ম
সে সূর্যের দিকে মুখ তুলে!

চারিদিকে বনের পাহারা
পাহাড় এবং উপত্যকার উপরে সর্প!
এবং পূর্বপুরুষদের থেকে অবিচল প্রত্যয়ে
পরবর্তী প্রজন্ম সাথীদের মধ্যে রুটি ভাগ করা!

রোমনিয়ার বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক এমিনেস্কু

৪.
মূল্যবান ধন-এমিনেস্কু

তিনি বিশ্বের ভাণ্ডারে হাজির, সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রেমিক
তিনি মিষ্টি রোমানিয়া থেকে জল এবং মাটি দিয়ে লিখেছেন!
আর তার কথা, সারা পৃথিবীতে রংধনুর মত
আশার হল গুলোর মানসে ধরা!
অমরত্বের কবি, তারার মধ্যে লুসেফার
খাঁটি ভালবাসার উড়ান, ক্ষণস্থায়ী আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে ধিরে ধিরে হিস করে, শোকের কোরাস গায়
ঝরনার বচসা আর দমকা হাওয়ায়
লিন্ডেন ফুলের নীচে যাদুকরের জন্য ভালবাসা
তার লুকানো ভালোবাসা, তার চোখে স্বপ্ন
ঝোপে বসন্তের সাথে, ঘাসের ফলক অঙ্কুরিত হয়েছে! আকাঙ্ক্ষার কুঁড়ি, আখরোট ফুলের সাথে জড়িত গল্পের পাতায় পাতায় কাঁপতে কাঁপতে সে লিখেছে,

ঘন জঙ্গলের মাঝখানে! মৃদু সূর্যের রশ্মির নিচে
নীল ফুলটি তাকে দিয়েছিল যে তাকে কথার বাইরে ভালবাসে!
রাতের পর রাত তাকে দেখছে, জানালায়, গোপনে
স্বামী ছাড়া পপলারদের দ্বারা, সে হেঁটেছিল, নিজের সাথে কথা বলেছিল! এবং তিনি তার সমস্ত ভালবাসা কাগজে পংক্তিমালায় রেখেছিলেন
মধুর অলৌকিক! কত আকুল আকুল এটি চাঁদ এবং বসন্তের জলে প্রতিফলিত হয়!

৫.

শিল্পী – কনস্ট্যান্টিন ব্র্যাঙ্কুসি

ছেনি থেকে, আপনি একটি কবিতা খোদাই করেন,এবং সারি সারি, আপনি একটি অসীম স্থাপনা

লোকে আপনাকে পাঠ করেন … এবং গতকাল এবং আজ এবং আগামীকাল

যতক্ষণ “গেটের” নীচে “চুমু” যায়

এবং “ঘুমানো মিউজ” জেগে ওঠে

এবং চেহারা থেকে পুরানো আয়াত নিক্ষেপ

ফরাসি ভাষায় ফিসফিস করে, রোমানিয়ান গর্জু থেকে

এবং একটি “মহাকাশে পাখি” গান গায়

টারগু জিউতে পাবলিক বাগান

চার দিগন্তে ধ্বনিত…

সে মিস পোগারিকে মুগ্ধ করে

একজন “মাথা” এবং একজন “উপপত্নী” বিশ্রাম নিচ্ছেন!

সূর্যের রশ্মির নিচে, তারা শিশিরে জ্বলে

কি সহ্য – শত শত পূরণ

“প্রিন্সেস এক্স” অপরিবর্তিত রয়েছে

ছেনি নাকাল সঙ্গে, কাঠ এবং পাথর মধ্যে এক অন্তহীন কলামে বিজড়িত লাইন বাই লাইন…

ধুলোমাখা দাড়ি আর হাতে আঙ্গুল একটি সুন্দর আত্মা এবং একটি জ্ঞানী মন সঙ্গে

আপনি অনন্তের দিকে, নতুন রাস্তা খুলেছেন

অতীত এবং ভবিষ্যৎ, দোরগোড়ায়

“নীরবতার টেবিল” এর দিকে তাকিয়ে

“চিন্তক” এবং “পৃথিবীর গুণ”!

৬.

আমিও

আমি, আমি আমাকে থাকতে চেয়েছিলাম

ভয়ংকর দূর থেকে যখন ফিরে এলাম!

স্যাঁতসেঁতে শরীর কেঁপে ওঠে তার সাথে

এবং সময় এর মধ্যে ক্রমাগত

চামড়ার উপর কুঁচকানো দাগ!

বয়ে যাওয়া নদীর সঙ্গে

এবং আবহাওয়া আধুনিক ট্যাবে পরিবর্তিত হয়েছে!

আমি, আমি প্রস্থানের দিন ফিরে এলাম,

আমি একটি ধাঁধা তৈরি করার চেষ্টা করেছি!

যার মধ্যে, অনেক টুকরা, হাঁটার জন্য বাহিরে ছিল

আমি, আমি নিজে হওয়ার চেষ্টা করছিলাম

কিন্তু বাতাসেরও সামঞ্জস্য ছিল না!

না সময়, না মানুষ, এবং না শব্দ!

কবি: ইলিয়ানা পাস্কু

৭.

প্রেম, বাম কাঁধে আহত

অস্পষ্ট হাসি আর নত দৃষ্টিতে

এটা ভালবাসা গোপন, গভীর রাখা

পরনে গরম কোট

ইচ্ছাকৃতভাবে আহত হয়েছে, বাম কাঁধে!

আমি ভয় পাচ্ছি, শব্দ আপনাকে গভীরভাবে দিতে

তারা খালি এবং দুঃখিত এবং তারা বুঝতে পারেনি

একটা স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠত!

পুরো মহাবিশ্ব ভেঙে পড়ত!

খালি পায়ে, হাওয়ায় জড়িয়ে ধরে

চিন্তা ও স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে অলসভাবে হাঁটা!

শীঘ্রই আত্মার মধ্যে সূর্যালোক থাকবে

ভালবাসা এবং প্রতিশ্রুত কথার অপচয়!

নীরবতা আমাদের মধ্যে বিভ্রান্ত করে এবং চিৎকার করে!

চিন্তা না করে, শব্দের মধ্যে দিয়ে ঘোরাঘুরি!

চাপা আবেগ, খালি কাঁধে নিন্দা!

পরিষ্কার, স্ট্রিং ব্রত মধ্যে আবৃত!

তোমার চোখ, রাগে তাকিয়ে আছে

ট্রোজানে সংরক্ষিত অনুভূতি!

মনের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলে, চিঠিতে ভরা

যা কবিতায় সুন্দরভাবে মিশে আছে!

আয়না একটি অশ্রু, তার চোখের কম্পনে ধরা

কি হালকা না, জড়তার বিপরীত!

মুহূর্ত এবং হাহাকার চিন্তা তার মধ্য দিয়ে যায়

নীরবতার ভারে, অহংকার

ক্ষমায়!

প্রেম রসিকতা করে না, প্রেম রসিকতা করে না

ভালবাসাই সবকিছু, এর চেয়ে কোমল কিছু নয়!

এটি চাঁদের প্রান্তে খোদাই করা গোপন রহস্য

চারিদিকে সুন্দরভাবে ফুটছে!

৮.

হাসিখুশি

তোমার হারিয়ে যাওয়া দৃষ্টিতে

তারা কাঁটা, গুচ্ছ।

আশার আলোয় গলে

আর আমার মায়ের কাছ থেকে ধার করা চামড়ায়

স্বচ্ছভাবে রক্তপাত হচ্ছে।

অ্যাস্ট্রাল ম্যাপ, পাতায় মুদ্রিত

তারার বিশ্রাম, তালুতে বাসা,

নিয়তি পুনর্নির্ধারণ।

সূক্ষ্ম কুঁড়ি ঘূর্ণিতে ধরা পড়ে!

কোলাহলপূর্ণ উপত্যকা পেরিয়ে

 ক্ষমাহীন তারুণ্যের।

 তারপর নীরবতা নেমে আসে ঘাসে।

কবি ইলিয়ানা পাস্কু

৯.

বছরের মধ্যে রাত

এই জীবন থেকে অনেক সময় কেটে গেছে

বালিঘড়ি ধীরে ধীরে ঝরে, বালি সূক্ষ্মভাবে আলগা হয়!

ঘড়ির কাঁটা, সেকেন্ডে জানালার টিক চিহ্ন

মনে হয় এসে গেছে, শেষ সূর্যাস্ত!

দূর দিগন্তে আগুন বন্ধ করে দিল সে আতশবাজির গুচ্ছ, আকাশ মাখানো

এটি ভোর, বাতাস, রাতে আলোকিত করে

পৃথিবী, অবশ্যই, বোঝাই, বস্তাবন্দী!

বছরের মধ্যে রাতে, নতুন একজন বাপ্তিস্ম নেয়

দাতিনি সহ ক্যারোলাররা এসেছে

তারার পর্দা আমাদের উপর স্থির হয়ে গেছে

নতুন বছর ঘনিয়ে

আসছে, প্রথম সূর্যোদয়!

১০.

আলিঙ্গন,

আপনার চুম্বন কাঁপছে…

তুমি আমাকে তোমার আত্মার উষ্ণতায় আচ্ছন্ন করেছ!

পাতায় মরিচা পড়ে ভোরে

সময় সংকুচিত হয়েছে,

অনন্ত সেকেন্ডে

তোমার চুমুর ছায়া!

জট পাকানো পথে দৌড়াও আকাঙ্ক্ষার চিহ্ন রেখে যাচ্ছে ত্বকে উলকি করা অনুভূতি!

তোমার চোখে ফিসফিস

এটা আমাকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলছে!

পুনর্জন্ম হতে শেখা

আমি চোখ বন্ধ করে তোমাকে আমার চোখের পাতার নিচে রাখি!

ভাবনা জমে ওঠে

অনুভূতির বৃষ্টিতে

একটি অশ্রু তার পথ তৈরি করে!

গোলাপী চিন্তার উপরে

নিচের ঠোঁটে পড়ে

তুমি, তাড়াহুড়ো করে চুমুক দাও

আমি আমার হাতের তালুতে আপনার চুম্বন ধরে রাখি!

১১.

নারী

তার জীবন থেকে সে পৃথিবীতে জীবন দেয়

তার স্তন থেকে সে শিশুকে দুধ খাওয়ায়

চোখ থেকে প্রেমের স্ফুলিঙ্গ উঠে

এটি আমাদের আত্মায় সুখ নিয়ে আসে!

সে তার হাতে ঘরে রুটি গুঁজে দেয়

তিনি আমাদের জড়ো করেন এবং আমাদের

টেবিলে পরিবেশন করেন

তিনি আমাদের ক্ষত যে ব্যাথা সান্ত্বনা

আমরা সবসময় তার মধ্যে সান্ত্বনা খুঁজে পাই!

সে অনেক ব্যবসা শিখেছে

চার দিগন্তে পৃথিবী ঘুরেছে

তিনি পরিশ্রমী, জ্ঞানী এবং প্রতিফলিত বাচ্চাদের জন্য, ঘরের জন্য কত কাজ করেন তিনি!

নারী শক্ত, পাথরের মতো

এটি গভীর সমুদ্রের মুক্তা

যার দীপ্তিতে তুমি প্রতিবিম্বিত

নারী, তুমি কত গর্বিত এবং সুন্দর!

তুমি কাজে এবং কথায় মার্জিত

প্রস্ফুটিত ফুলের মাঝে রানী! ভালোবাসাই আমাদের মধ্যে নিহিত

দুজনের জীবনের প্রধান স্তম্ভ!

POETA ILEANA PASCU

১২.

ক্রিসেন্থিমাম

ক্রিসেন্থিমাম ভোরের অন্তহীন রং

বড় এবং ছোট ফুল

স্থরে স্থরে শিশিরের সঙ্গে

শরৎ প্রস্ফুটিত!

সময়ের সাথে সাথে প্রতিরোধী সুন্দর মুখ

সূর্যালোক দিয়ে উপহার

ছুটির দিনে!

সাথে একটি রোমান্স গান

বর্ণময় জীবনে

এলোমেলো পাপড়ি!

প্রিয় নারীদের

সরল ও মাঝারি

বড় ছোট এবং এমনকি সুগন্ধি

যতক্ষণ না তুষারপাত হয়!

POETA ILEANA PASCU

১৩.

ভুমিকম্প

রামধনুতে ভোর ভাঙে

পৃথিবী গভীরে ফুটছে

সাথে সাথে একটা হাওয়া এসে গেল

ঘুমন্ত মানুষকে জাগানোর জন্য!

ভোরবেলা টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়া

সূর্য যে লাভা ধরবে তা নিক্ষেপ করুন

শরৎ কাঁপতে কাঁপছে

কাঁপানো ঢেউয়ে পৃথিবী!

সময়ের সাথে সাথে অনেক রূপান্তর

আর এত ধন-সম্পদের আউট চেপে

ক্রমবর্ধমান কঠিন মাটি মুখের উপর পদদলিত

সে চিন্তিতভাবে দাঁত কিড়মিড় করছে!

আর বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবী কেঁপে ওঠে ভেতরে-বাইরে

সে বিষ, আগুন এবং ঢেউয়ে ফেনা ছিটিয়ে দেয়

ভূমিকম্প – একটি অশুভ ছবি!

১৪.

তিন দশক

নীল শান্ত বিশাল চুয়ে চুয়ে

পড়ে এটা নির্জন আত্মার উপর আলতো করে পিছলে পিছলে এটি আমাদের ভালবাসাকে তার পথে ধুয়ে দেয় এবং দাবীদার চিন্তা প্রম্পট!

“সিন সিন” এ ক্রিস্টাল গবলেটের আংটি টেবিলের চারপাশে আমরা ঐশ্বরিক আশীর্বাদ গ্রহণ করি! সেরা ওয়াইন সঙ্গে প্রেমের ভাগ তিন দশক আমরা দূরত্বের দিকে তাকাই!

মরিচা পাতার চক্রাকার নৃত্য, আর বজ্রপাত জ্বালিয়ে দেয় মাখন

বাতাস ঠান্ডা হতে শুরু করেছে শরৎ বৃষ্টি উড়িয়ে দেয়!

আমার চোখ চুম্বন যে আপনার দৃষ্টি খুঁজছেন

স্মৃতিতে গাল ভেসে ওঠে

আমি কেঁদেছিলাম এবং আমার হৃদয়ে ভালবাসা

প্রজ্বলিত করেছি!

নতুন উদ্ঘাটনের মধ্যে দেখুন!

১৫.

আমি আমার মাকে মিস করি

এক বছর পেরিয়ে গেছে, অনেক পেরিয়ে যাবে
এক বড় আকাঙ্ক্ষা আমার আত্মার উপর চাপা এটা পাহাড়ের পাথরের মত কঠিন
যে তোমাকে আর ঘরে পাবো না!

এবং এই বছর তুমি এসেছিলে
যেখানে তুমি আমাকে বড় করেছ ,যেখানে ঘরের দোরগোড়ায়
আমি তোমাকে শেষ একটা চুমু দিলাম!

আমি শোকের মাতম করিনা এখন নীরবে বহন করি শোক!
আমার ভিতরে চিৎকার… প্রতিধ্বনিত…
আমার কপালের উপর মিস করি তোমার আদর চুমু!
তুমি একটি পেইন্টিং থেকে আমাকে দেখছো!
তুমি একটি আইকন ছিলে আমার মা!
আমি তোমাকে ঈশ্বরের মত ভালবাসতাম তোমাকে ছাড়া জীবন কঠিন! এবং আমার আত্মা ভারী!
ঘরে তোমার উপস্থিতি অনুভব করছি!
রুপার চুলে আমার মা
আমি একটি ভাজা ডিম মিস করছি!
আমি মিস করি তোমার আলিঙ্গন আমার অনুভবে
আমি তোমার মধুর কথা মিস করি!
আমার চোখে তোমার দৃষ্টি অনুভব করতে বাগানের ফুলের কাছে যাই!
আমি আমার বছর কাটিয়েছি সবকিছু থেকে,
বেশি তোমাকে অনুভব করে!
ছোট মেয়েরা তোমার দরজায় আসছে
আজ, আমাদের নাতি-নাতনিও আছে
তুমি এসে তাদের ভালবাসার সাথে শুভেচ্ছা জানাও!
আমি জানি তুমি তাদের অনেক মিস করছো!
আকাশ থেকে নেমে এসো প্লিজ
আমি তোমাকে আরও একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চাই, মায়েরা কেন সবসময় মারা যায়?
আমি তোমাকে একটি আলিঙ্গন দেওয়া মিস করি মা!

উৎসর্গ: মারিয়া স্পাতারু (মেরুতি)- Maria Spataru (Meruti)

১৬.

জীবন নিজেই একটি শিল্প

সমস্ত শিল্প চকমক এটা যত্ন সহকারে করা হয়েছে

আপনি যখন আঁকেন, আপনি বিশ্বকে দেখান

আবেগ ফ্রেমবন্দী, নাচ -সঙ্গীত, গ্রহণ সবচেয়ে বড় প্রশংসা.

কবিতা, পালা এটি অবসর সময়ে বেছে নেওয়া হয়।

থিয়েটার অঙ্গনে আছে, সিরিয়াসলি বা স্রেফ মজা করছি

জীবন থেকে টুকরা টুকরা গ্রহণ, এবং তাদের লাশে পরিণত করা!

POET: ILEANA PASCU

কবি: ইলিয়ানা পাস্কু

১৭.

উচ্চ বিদ্যালয় বছর

ব্যাংক যদি কথা বলতে পারত
কত আঁচড় সহ্য করেছে সে
নোটবুক-ইন কবিতার মাধ্যমে সংগৃহীত ইমপ্রেশন!
যেহেতু আমি এটিতে বসেছিলাম
এত কোমল বছর, অনেক স্বপ্ন নিয়ে সবচেয়ে সুন্দর, আপস সহ স্তনে, তারার মাঝে ভেসে থাকতে দেখা যায় একটি নির্মল ফুল! আমার জীবনের কৈশোর!
বন্ধুরা, চুক্তিতে আবদ্ধ
যা পৃথিবীতে সারাজীবন টিকে থাকে,
স্মৃতিগুলো হৃদয়ে বেঁচে থাকলো!
যেমন আমরা একসময় তাদের বসবাস করতাম
ভালো কাজ ও দুষ্টুমি ছিল,
কিন্তু সময় উড়ে গেল
এবং আমরা ছোটবেলা থেকেই রেখেছিলাম
মধুরতা, মুহূর্তের সৌন্দর্য!
আমরা বিষাদ নিয়ে আত্মার দিকে তাকাই
সোনালি পাথর দিয়ে পাকা রাস্তা!
এবং সক্রিয় ঘন্টা থেকে স্ফটিক কণ্ঠস্বর!
আমরা যখন জীবনে চলাফেরা করি, তখন আমাদের শিক্ষকরা হাজিরা খাতা থেকে, আমাদের কেটে ফেলেন!

১৮.

কার্তুজায় ফেব্রুয়ারি

এই বসন্তে বাতাস ঠান্ডা হিমের নিচে স্ট্রবেরি পাপড়ি পড়ে আছে,
বরফ কিন্তু হিংস্র হাত দিয়ে বৃথা আশা সংগ্রহ করি!
আমার মধ্যে তিক্ত দীর্ঘশ্বাস, জাতি ও একটি জীবন্ত আশা,
অনেক সময় নীরবে ঘুরে বেড়াই নীরবে, লক্ষ্য এবং যন্ত্রণার মধ্যে!
তাড়াহুড়ো করে কিছু গর্ত দেখায়,পামের মানচিত্রে,
গভীর সমস্ত আর্দ্রতা আঙ্গুলের মাধ্যমে ঝরে যায়!
এবং আশা হাঁটুতে পড়ে রক্তের কালি দিয়ে লেখা,
পুরুষত্বহীনতা, দুর্বলতা প্রবাহিত হয়, শান্তি ও বিশ্বাসে বিচরণ!
ঢেউয়ে ভাবতে ভাবনা ভেঙ্গে যায় পায়ের মাটি থেকে চুমু খায়,
বেগুনি দিগন্ত প্রশংসনীয় স্বস্তি, এখন শুধু সূর্যোদয়,
এবং আমার তালা দিয়ে বাতাস বয়ে যাচ্ছে!
পালের মধ্যে সারস নাড়া দিচ্ছে সীগালের আর্তনাদ,
আকাশ ছিঁড়ে বালিতে কবর দিই সুখের মুহূর্ত,
এখন থেকে মুক্ত হচ্ছে রহস্য!

১৯.

নীল আশ্চর্য
কাঁপছে, আমি দেখতে
থাকি,
নীল বিস্ময়ের কাছে
কি বন্যা সহযোগী,
আমার মধ্যে সব হৈচৈ।
তৃষ্ণার্ত, আমি নিচে যাই
পাথর শরীরের উপর
এবং, ক্ষুধার্ত, আমি উঠি
জ্বলন্ত চুলের কাছে।
আমি যদি বাঁচতে পারতাম
কিন্তু আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে
তোমার ঠোঁটের গন্ধে!
কি আমার মুখ ঢেকে আছে
অনন্ত চুম্বন দিয়ে।
আমি বাঁচতে চাই
কিন্তু আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে!
ছাপের নিচে
তোমার শরীর
সোল্ডার করা।
আমাকে দেখতে আসেন
আর আমাকে জীবন্ত মেরে ফেলো!
আমার মধ্যে ছেড়ে যেতে
শুধু জীবনের ছায়া,
কিসের জন্য অপেক্ষা করছ, ক্ষুধার্ত,
একটি নীল বিস্ময় …

২০.

আমাদের মধ্যে নীল

ফেনা ঢেউয়ে

তুমি আমাকে নির্দয়ভাবে নিক্ষেপ কর

আমাদের মধ্যে নীল

সমুদ্রের নীল

আর আকাশে নীল

এটা আমাদের মেজাজ নাড়া দেয় সে আমাদের ডাক মিস করে!বোহেমিয়ান বিদ্রোহী তুমি আকাশের দিকে তাকাও

আমি মাটির দিকে তাকাই

আমি একটি শুকনো পাতা দেখতে পাই!

তারা কিভাবে খচমচে মিথ্যা আকাঙ্ক্ষার ছায়ায়

ফিসফিস শব্দের ওপরে!

আমি ঠোঁটের উপর আঁকা

আলোর একটি রূপরেখা

আর গরম ত্বকের নিচে,

আমি কাঁপুনি এবং তীর রাখি!

চোখে সুগন্ধি কাজল দিলাম,

এবং টেম তোমার মধ্যে রাগ!

২১.

বুমেরাং

রোমাঞ্চ যা আপনার সত্তার মধ্য দিয়ে জ্বলজ্বল করে যা টিকে থাকে এবং আত্মায় সম্পন্ন হয় ভালোবাসা থামানো যায় না! হৃদয় যখন তার দরজা খুলে দেয়!

আশার কুঁড়ি থেকে নকল

পেছনে রেখে যাই সেকেন্ডের ভালোবাসা

অস্পষ্টতায় ঋতুতে খোদাই করা,

মরচে পড়া শরতের পাতায়!

ভালোবাসার ঘূর্ণি আমার হাত ধরে চোখের সাগরে স্নান করে,

তারা আমার দিকে কোমল দৃষ্টিতে তাকাল! ঝলকানি

আকাঙ্খা এবং প্রিয়, আমার হৃদয়ে রেখে যাওয়া!

ভালোবাসা যতটা সময় পার হয়ে গেছে ততটাই মহান!

সর্বদা বিতরণ এবং এর উপর নজর রাখা,

সত্যি বলতে, কিছুই কঠিন বলে মনে হচ্ছে না!

যখন আপনার আত্মায় সুখ অনুপ্রবেশ করে!

এবং আপনার পাশের একজনকে সম্মান করুন

আকাশে নিক্ষিপ্ত বুমেরাং এর মত, কি বাতাস কেটে, ইথার থেকে আলো,

এটি আপনার কাছে সম্মান এবং ভালবাসার সাথে ফিরে আসে!

কবি: ইলিয়ানা পাস্কু এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

Short Biography of Poet: ILEANA PASCU

Name: ILEANA PASCU

নাম: ইলিয়ানা পাস্কু

জন্ম: ১৯৭৩ সালের ৩১ জানুয়ারী এক শীতকালে। জন্মস্থান: Ocnița – Dâmbovița – Romania.

কবিতার প্রতি ভালোবাসা শৈশবে তাঁর আত্মায় প্রোতিত, কবির মা, এবং দাদা, একজন শিক্ষক আইওনা ক্রিস্টেসকু রোমানিয়ান ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক।

এছাড়া মিহালিয়া মিহাই এবং জর্জ তোমা ভেসেলিউ দ্বারা উৎসাহিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৫-১৯৮৭ সালে, Ocnița ম্যাগাজিন, স্কুল অ্যান্ড লাইফ”-এ কবিতা প্রকাশ করার জন্য। তিনি অ্যান্থোলজি ডকুমেন্ট “ড্রিম উইথ নিচিতা”, ভলিউম ১২- ১৫ এ কবিতার রিভিউ, “ড্রিম উইথ নিচিতা” – অ্যাপোলন , রোমানিয়া, Ro.cart পাবলিশিং হাউস, রোমানিয়ান লেখকদের সমসাময়িক সাহিত্যের নৃসংকলন, ভলিউম ৫, মন্ট্রিল, কানাডা থেকে গ্লোবার্ট ইউনিভার্সাম প্রকাশনা ঘর। “পুসিওসা সিনাকল” এর সদস্যদের নৃসংকলন। তিনি মাদ্রিদ থেকে ম্যাগাজিনে প্রকাশ করেছেন, প্যাশন ৪ লাইফ, দ্বিভাষিক রোমানিয়ান-স্প্যানিশ, আমার আত্মার ম্যাগাজিনের জন্য কবিতা-কানাডা, প্রিন্টস অফ দ্য সোল – রোমানিয়া, সাহিত্যিক স্পেন, গেটাফে – মাদ্রিদ, যৌথ কবিতা রেডিও রোমান্টিক – Iasi, রেডিও Passion 4life..

এবং “অটাম ড্রিম” কবিতা প্রতিযোগিতা, অ্যাপোলন রোমানিয়াতে অংশগ্রহণকারী। তিনি স্পেন রাজ্যের মাদ্রিদে রোমানিয়ান দূতাবাসের মধ্যে মাদ্রিদ – ASARS – পার্লা (স্পেন থেকে রোমানিয়ান লেখক ও শিল্পীদের সমিতি) থেকে সাহিত্য সেনাকেলে অংশগ্রহণ করেছেন। সাংস্কৃতিক সেন্টার লা টিয়েরা ট্রাসিয়া – অ্যাসোসিয়েশন রোমানাটি, কালচারো প্ল্যাটফর্ম – স্পেন, আলফা ম্যাগাজিন – মনসেফু – পেরু। উল্লেখিত সহ ডিপ্লোমা – ডায়াস্পোরায় লিখেছেন। আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক-সাহিত্য উৎসব সেভেন হার্টস রোমানিয়ার মধ্যে সাহিত্যিক স্বীকৃতি সহ অনেক ডিপ্লোমা, আর্টস গ্যালারির বিভিন্ন পুরস্কার। আমার আত্মার জন্য কবিতা – কানাডা, বিশেষ পুরস্কার “লা ফন্টানা ডেল আমোর” – বায়ানো – ইতালি, মিহাই এমিনেস্কু আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবে, গেটাফে – মাদ্রিদ, স্পেনে প্রথম ভলিউম ARIPI FRÂNTE এর জন্য উল্লেখ সহ ডিপ্লোমা। উল্লেখ, “নিচিতার সাথে স্বপ্ন”, ৮ম সংস্করণ, অ্যাপোলন কালচারাল সোসাইটি রোমানিয়া, স্বীকৃতি এবং অংশগ্রহণের ডিপ্লোমা – পোয়েটাস ইন্টারগ্যালাক্টিকোস এবং গাওনেসা কবিতা – ইকুয়েডর। (পানামা, কলম্বিয়া, পেরু…)

তিনি কবিতার ভলিউম প্রকাশ করেছেন, “ব্রোকেন উইংস” – বিবলিওথেকা টার্গোভিসট পাবলিশিং হাউস, রোমানিয়া ২০২২ “ভিভিএকিউরি Îএনটিআর-ও জিআই” – পিম পাবলিশিং হাউস, Iași – ২০২৩ এবং “,BCKLA” এবং মোরেনিকা-এর কবিদের অনুবাদ সহ একটি গদ্য, একটি হাইকু এবং আরেকটি কবিতার কাজ চলছে।