লেখক গবেষক, কবি: হাসান নাশিদ

গাছে গাছে মানুষরূপী রাক্ষস।

কিছুদিন আগে প্রায় দুপু‌রের একটু আগ মুহূ‌র্তে ক‌বি আশরাফ আলী চারু ভাই‌য়ের হঠাৎ ফোন পে‌য়ে সাদামাটা হ‌য়েই বের হই। কাউসারের দোকা‌নে গি‌য়ে জান‌তে পা‌রি তার আস‌তে আ‌রো দু-এক মি‌নিট লাগ‌বে। বৃহস্প‌তিবার হওয়াই বাজ‌া‌রে এ‌তো মানুষ তা আ‌গে কখ‌নো দে‌খি‌নি। চায়ের অর্ডার না ক‌রেই বের হ‌য়ে দাঁড়া‌তেই দে‌খি চারু ভাই বাইক টে‌নে আমার বাসার দি‌কে এ‌গি‌য়ে যা‌চ্ছেন। পেছন থে‌কে হাঁক‌দি‌তেই ব্রেকক‌ষে মাঝপ‌থেই আমা‌কে উ‌ঠি‌য়ে সরাস‌রি শ্রীবরদী সরকা‌রি ক‌লে‌জের পেছ‌নে চা‌য়ের দোকা‌নে দাঁড় করা‌লেন। তারপর চা পান কর‌তে কর‌তে গত শুক্রবার ক‌বি ও ছড়াকার জিসান মেহবুবের আগমণ‌কে কেন্দ্রক‌রে নানা অ‌ভিজ্ঞতার আলাপচা‌রিতার প্রায় শেষ না হ‌তেই শ্রীবরদী সরকা‌রি ম‌হিলা ক‌লে‌জের সহকা‌রী অধ‌্যাপক ও ক‌বি আজাদ সরকার ভাই‌য়ের ফোন পে‌য়ে আ‌রো একটু দীর্ঘ হ‌লো আমাদের চাড্ডা। ঝগড়াচর থে‌কে তি‌নি ঠিক সম‌য়ে এ‌লেও কো‌নো কার‌ণে তা‌কে ক‌লেজে যে‌তে হয় এবং বাধ‌্যহ‌য়ে আমরা সেই দোকান ত‌্যাগক‌রি। কিন্তু আতাউর স‌্যা‌রের কা‌ছে আমার কাজ থাকায় বাই‌কে চে‌পে হস‌পিটা‌ল গে‌টে আ‌সি এবং সেখা‌নে প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন আমার গুরুবর ক‌বি হা‌দিউল ইসলাম স‌্যার‌কে দেখ‌তে পাই। প্রয়োজনীয় কাজ সে‌রেই প্লাস স্কুল ঘেঁষে চা‌য়ের সে‌রি‌তে না ব‌সে দাঁ‌ড়ি‌য়েই আ‌রো একবার হ‌য়ে যায় আমা‌দের চা‌য়ের ত্রিভু‌জ আড্ডা। নানা কথা ও সা‌হিত‌্যর‌সের একপর্যা‌য়ে আ‌রো দু-একজন যোগ হ‌লেও স‌্যা‌রের মু‌খে ইং‌রে‌জি সা‌হি‌ত্যের বিখ‌্যাত ক‌বি আ‌র্নেস্ট হ‌্যা‌মিংও‌য়ের এক‌টি বিখ‌্যাত গল্পের মধ‌্যদি‌য়ে সন্ধ‌্যায় দেখা হওয়ার প্রত‌্যয়ে যখন বিদায় নি‌চ্ছিলাম, ঠিক সেই সময় আব্বাস ভাই‌য়ে বড় ছে‌লে রা‌সেল কাকার সা‌থে দেখা। তারপর আর কী! অ‌নেক কথার মা‌ঝে কথা হ‌লো প্রিয় বন্ধু আব্দুল হা‌লি‌মের সা‌থে। এক সা‌থে এসএস‌সি সমমা‌নের ব‌্যাচ থে‌কে আ‌মি তার সা‌থে পাশক‌রি, তারপর মা‌ঝে-সা‌ঝে দেখা সাক্ষাত হ‌লেও আজ‌কের ম‌তো দীর্ঘ হাঁটা হয়‌নি কখ‌নো। উত্তর বাজার থে‌কে, স্ত্রী ও তিন বছরের কন‌্যা উ‌ম্মে হা‌বিবার কাছ থে‌কে বিদায় নি‌লে, নবজাগরণ স্কুলের পাশ দি‌য়ে যখন দুই বন্ধু হাতধ‌রে হাটঁ‌ছিলাম ঠিক তখনই এক‌টি বটগা‌ছে আট‌কে থাকা অমানু‌ষের অ‌নেক অমান‌বিক, নিষ্ঠুর ও নির্মম প‌রিহা‌সের চিত্র দেখলাম। যা আমার হৃদ‌য়ে রক্তক্ষরণ ক‌রে‌ছে। এরাও মানুষ? যারা গা‌ছে‌দের জীবন নি‌য়ে চি‌ন্তিত নয়! যে গাছ আমাদের জীবনরক্ষা থে‌কে শুরুক‌রে ব‌্যবহা‌রিক জীব‌নের সকল‌ক্ষে‌ত্রে অনবদ‌্য ভূ‌মিকা রে‌খে চ‌লে‌ছে, তা‌কেই আমরা তি‌লে তি‌লে হত‌্যা কর‌ছি? ছিঃ আমা‌দের লজ্জা থাকা উ‌চিৎ! 

(ছবি: শ্রীবরদী সরকা‌রি ক‌লেজ এলাকা )

নি‌জে‌কে একটু হ‌লেও শান্তনা দি‌তে পারতাম, য‌দি দেখতাম এক‌টি গা‌ছেই হয়‌তো নিষ্ঠুরতার প‌রিচয় দি‌য়ে‌ছে মানুষ কিন্তু না, সরকা‌রি ক‌লেজ পর্যন্ত প্রায় ২৩‌টি গা‌ছের একই অবস্থা! অবাক হলাম এটা ভে‌বে যে, যেখা‌নে এ‌তো এ‌তো উচ্চ শি‌ক্ষিত ও সরকা‌রি গ‌্যা‌জেটধারী মেধাবী এবং স‌চেতন মানু‌ষের বাস সেখা‌নে কিভা‌বে বৃক্ষাসু‌রের ম‌তো অসু‌রেরা এইভা‌বে বৃক্ষ‌না‌শে মত্ত! আশ্চর্য না হ‌য়ে থাক‌তে পারলাম না! 

ঠিক আ‌ছে! গা‌ছে গা‌ছে নেম‌প্লেট, বিজ্ঞাপন ও ধর্মীয় শব্দ স্মরণক‌রি‌য়ে আপনারা ব‌্যক্তিগত ফায়দা হা‌সি‌লের পাশাপা‌শি সওয়া‌বেরও কাজ কর‌ছেন। এটা স‌ত্যি প্রশংসার দা‌বি রা‌খে, কিন্তু আপ‌নি কি জা‌নেন, এটা কো‌নো ধর্মই সা‌পোর্ট ক‌রেনা? আপ‌নি জা‌নেন, প‌বিত্র কুরাআ‌নের সুরা হ‌জের ১৮নং আয়াত অনুযায়ী এটা সম্পূর্ণ নি‌ষিদ্ধ? জা‌নেন, আবু দাউ‌দের ভাষ‌্যম‌তে রাসুল (স.) ব‌লে‌ছেন, ‘যারা ‌বিনাকার‌ণে কো‌নো গাছ কা‌টে তা‌রও কাল কিয়াম‌তে মাথা কে‌টে দেয়া হ‌বে’?

 জা‌নেন না? জান‌বেন কি ক‌রে? আপনা‌দের মাথায় তো শয়তানও বাস কর‌তে ভয় পায়, কারণ আপনারা শয়তা‌নি অ‌ভিজ্ঞতায় এ‌তোটাই উপ‌রে চ‌লে গে‌ছেন যেখা‌নে শয়তানও যেতে পা‌রে‌নি! 

সুরা হ‌জের ১৮নং আয়াত ”اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ یَسۡجُدُ لَهٗ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَنۡ فِی الۡاَرۡضِ وَ الشَّمۡسُ وَ الۡقَمَرُ وَ النُّجُوۡمُ وَ الۡجِبَالُ وَ الشَّجَرُ وَ الدَّوَآبُّ وَ کَثِیۡرٌ مِّنَ النَّاسِ ؕ وَ کَثِیۡرٌ حَقَّ عَلَیۡهِ الۡعَذَابُ ؕ وَ مَنۡ یُّهِنِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنۡ مُّکۡرِمٍ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَفۡعَلُ مَا یَشَآءُ” অনুযায়ী মহান আল্লাহ বলেন, ” তুমি কি দেখোনা, মহাকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, যেমন- সূর্য, চাঁদ, তারকারাজী, পর্বতমালা, বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং মানুষের মধ্যে অনেকেই আল্লাহর আনুগত্বকরে। আবার অনেকের উপর শাস্তি অবধারিত হয়ে আছে। আল্লাহ যাকে অপমানিত করেন তার সম্মান কেউ দিতে পারেনা। নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।”

যদি প্রশ্নকরা হয় যে, ইচ্ছাধীন আনুগত্য তো শুধু বিবেকবান মানুষ, জিন ইত্যাদির মধ্যে হতে পারে। জীবজন্তু, উদ্ভিদ ও জড়পদার্থের মধ্যে তো বিবেক ও চেতনাই নেই। তাহলে এগুলোর মধ্যে ইচ্ছাধীন আনুগত্য কিভাবে হবে? এর উত্তর এই যে, ‘কুরআনুল করীমের বহু আয়াত ও বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত আছে যে, বিবেক, চেতনা ও ইচ্ছা থেকে কোন সৃষ্টবস্তুই মুক্ত নয়। সবার মধ্যেই কম-বেশী এগুলো বিদ্যমান আছে। জন্তু-জানোয়ারের বিবেক ও চেতনা সাধারণত অনুভব করা হয়। উদ্ভিদের বিবেক ও চেতনাও সামান্য চিন্তা ও গবেষণা দ্বারা চেনা যায়, কিন্তু জড় পদার্থের বিবেক ও চেতনা এতই অল্প ও লুক্কায়িত যে, সাধারণ মানুষ তা বুঝতেই পারে না। কিন্তু তাদের সৃষ্টিকর্তা বলেছেন যে, তারাও বিবেক ও চেতনার অধিকারী। যেমন আল্লাহ বলেন, ”এমন কিছু নেই। যা তাঁর সপ্ৰশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে না” (সূরা আল-ইসরা: ৪৪)

বিজ্ঞান কী ব‌লে এটা কি কখ‌নো ভে‌বে দে‌খে‌ছেন? স‌্যার জগদীশচন্দ্র বসু ‘গা‌ছের প্রাণ আ‌ছে’ আ‌বিষ্কার করার পর মানুষ জান‌তে পা‌রে, মান‌বিক প্রায় প্রত্যেক‌টি গুণাব‌লী গা‌ছে‌দেরও র‌য়ে‌ছে। তারাও আমা‌দের ম‌তো যে‌কো‌নো আঘা‌তে কষ্ট পায়। তা‌দের অনুভূ‌তির শ‌ক্তি র‌য়ে‌ছে। আমরা যেমন গাছ থে‌কে অ‌ক্সি‌জেন গ্রহণক‌রি, তেম‌নি গা‌ছেরাও আমা‌দের থে‌কে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণক‌রে। গাছ আমা‌দের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। গাছ মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। বরং সর্বক্ষেত্রে আমাদের উপকার করে গেলেও আমরা গাছের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি নিষ্ঠুর আচরণ করে থাকি। মানুষ অবাধে হত্যা করছে গাছকে। জীবনের প্রয়োজনে, জীবিকার তাগিদে অবাধে গাছকে হত্যা করার অলিখিত প্রতিযোগিতা চলছে। শুধু তাই নয়, গাছের গায়ে পেরেক বা লোহা ঠুঁকে সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড লাগানো চলছে সর্বত্র। গাছের যে প্রাণ আছে তা আমরা ভুলে যাচ্ছি অবলীলায়। এ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসীন কেন? মানব সংস্কৃতির বিকাশে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করছে গাছ। গাছ উপহার দেয় সুন্দর ও নির্মল জীবন। মানুষের প্রয়োজনেই গাছকে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে দেয়া উচিত। অথচ আমরা আমাদের সবচেয়ে উপকারী বন্ধুটির গায়ে নিষ্ঠুরভাবে পেরেক ঠুঁকে ক্ষত সৃষ্টিকরে বিজ্ঞাপন প্রচারকরে চলেছি, যা অত্যন্ত অমানবিক। গাছের বুকে পেরেক ঠুঁকে শুধু যে সাইনবোর্ড বা বিলবোর্ড লাগানো হচ্ছে তা নয়, লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন নির্বাচনী পোস্টার, সমাবেশের আমন্ত্রণপত্র, জাতীয় নেতা-নেত্রীদের আগমনের শুভেচ্ছা, বিশেষ দিবসের শুভেচ্ছা, ঈদ-নববর্ষের শুভেচ্ছাও। এসব দেখার যেন কেউ নেই। দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, শহরাঞ্চলের প্রায় সব গাছই লোহা বা পেরেকের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত। প্রায় সব এলাকাতেই গাছে পেরেক ঠুঁকে লাগানো হয় হরেক রকম চটকদার বিজ্ঞাপন। শহরাঞ্চলের গাছগুলো যেন একেকটা জীবন্ত বিজ্ঞাপন বোর্ড!

গাছে পেরেক বিদ্ধকরে সাইনবোর্ড না লাগাতে ২০০২ সালের ৭ জুলাই জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়। কিন্ত বাস্তবে সে আইন কার্যকর হয়নি কখনো। সিটি করপোরেশন আইনে ১৯৯০ এর ৯২ ধারার ৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যত্রতত্র পোস্টার-ব্যানারসহ প্রচারপত্র সেঁটে দেওয়া এবং গাছে সাইনবোর্ড লাগানো দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইনের আওতায় ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধানও আছে। আইন থাকলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ নেই।

আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। সারাদেশ ঘুরে ঘুরে সমাজ, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণা এবং কবিতা লেখা নেশায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু বড় পরিতাপের বিষয় এই যে, কোথাও কোনো মানবিক মানুষ খুঁজে পাইনি। ব্যক্তিগত প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেক জায়গায় হেনস্তার শিকার হয়েছি। আমি ভাবতে পারছিনা, মানুষ কী করে এত নিষ্ঠুর আর অমানবিক হয়। আমার কাছে মনে হয়, রাক্ষসজাতি বলতে যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে এরা আর কেউ না, মানুষ। আমি এমনও গাছ দেখেছি, যেখানে এত বিজ্ঞাপন সাঁটানো হয়েছে যে গাছের ডালপালা পর্যন্ত দেখা যায় না। পুরো গাছ ঢাকা পড়েছে সাইনবোর্ড, ব্যানার এবং টিনের ছোট-বড় বিভিন্ন প্লেটের আড়ালে।

গাছ প্রকৃতির যেমন অমূল্য সম্পদ তেমনি মানুষেরও। গাছ কেবল পরিবেশবান্ধব নয়, জীবনবান্ধবও। আজ মানুষের অবাধ আর নিষ্ঠুর আচরণে প্রকৃতি রুদ্র হয়ে উঠছে। প্রকৃতির রুদ্র আচরণ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রথমেই প্রয়োজন গাছের সাথে সকল অত্যাচার বন্ধকরে তার গায়ে থেকে বিজ্ঞাপন, ব্যানার ও বিভিন্ন প্লেট খুলে ফেলা এবং প্রতিজ্ঞাকরা ‘ আর কখনো গাছের গায়ে পেরেক দেবনা’ সেই সাথে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গাছ রোপণ এবং তার স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়তার পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিকরা।

বাংলা‌দেশ কৃ‌ষি বিশ্ব‌বিদ‌্যালয় ও কৃ‌ষি সম্প্রসারণ অ‌ধিদপ্তর থে‌কে পাওয়া তথ‌্যম‌তে, গা‌ছে‌দেরও মানু‌ষের ম‌তো হ‌াজা‌রো রোগ হয়; হয় ক‌্যান্সারও। আপ‌নি যখন গা‌ছে লোহার পে‌রেক দেন তখন গা‌ছের সংবহন তন্ত্র একপ্রকার বন্ধ হয়, ও লোহায় ম‌রিচাপ‌ড়ে তার মাধ‌্যমে ব‌্যাক্টে‌রিয়া গা‌ছের অভ‌্যন্ত‌রে প্রবেশক‌রে গা‌ছের স্বাভা‌বিক বৃ‌দ্ধি‌তে দীর্ঘ সময়ধ‌রে বাধা দি‌তে থা‌কে। এবং একটা সময় গাছও ট্রিঅ‌্যাটা‌কে ম‌রে যায়। আর এর একমাত্র কারণ মানুষরূপী রাক্ষস। যারা প্রতি‌নিয়ত বন-জঙ্গল ধ্বংসের পাশাপা‌শি আপনার আমার চারপা‌শের গা‌ছেও এখন হাত দি‌য়ে‌ছে।

আমার জীবনের বড় দুঃখ, আমি আমার শ্রীবরদী থেকে সেই মানুষরূপী রাক্ষসের বিনাশ তো দূরের কথা তাদের এই অমানবিক অত্যাচারের প্রতিবাদটুকুও করতে পারিনি। যেখানে আমরা মানুষ হতে যাই, সেখানেই অমানুষের থাবা! আসুন আমরা এই অমানুষের ধ্বংসযজ্ঞ কর্মকাণ্ড থে‌কে বিরত থা‌কি। যারা এর সা‌থে জ‌ড়িত তা‌দের‌কে আই‌নের সাহা‌য্যে রু‌খে দিই। 

সম্পাদনা: মোঃ সাদিকুর রহমান রুমেন

প্রধান সম্পাদক: কলমের কারুকাজ (PEN CRAFT)