~~~ নমিতা সরকার
নীরব ঘাসের বুকে ঝরে টুপটাপ স্নিগ্ধ শিশির,
সাক্ষী হয়ে কথা কয় দীর্ঘ হৈম নিরীহ নিশি’র।
উজ্জ্বল ভোরের ঐ সোনালী রোদের মিষ্টি ভাষা,
আঁধারের বুকে জাগায় খানিকটা আলোর আশা।
ঝলমলিয়ে হেসে ওঠে কুয়াশামোড়া সব ছবি,
কৃতিত্বের দাবীদার ঐ মহাগগন আর মহান রবি।
কুল কুল দরিয়ার বুকে ভাসে বেশ নৌকাখানি,
মাঝিভাই গান জানে, এ কথাটাও আমরা মানি।
উজান গাঁয়ের মেয়ে হয়েও সবকিছুই যে জানি,
নাতিশীতোষ্ণ বায়ু মোদের করেছে যে চিরন্তনী!
পাতা ঝরার গান গেয়ে যায় বৃক্ষগুলোর শাখা,
বনে জঙ্গলে আর যে দেখা যায় না শূর্পণখা।
মল্লিকা ও শিউলি জানায় নব ভোরের সুপ্রভাত,
বকফুলও কম যায় না, সেজে ওঠে খাওয়ার পাত।
সাথে আছে ধোঁয়া ওঠা আউশ-আমনের নতুন ভাত,
পিঠে-পুলির আয়োজনেই নেমে আসে জ্যোৎস্না রাত।
শীতের অগ্রদূত তোমরা দুজন ‘কৃত্তিকা’ ও ‘আর্দ্রা’,
বাংলার আকাশে তারা হয়েই কাটাও মোদের তন্দ্রা।
কবি পরিচিতিঃ
গাজীপুর জেলার মেয়ে নমিতা সরকার এর লেখালেখির প্রতি আকর্ষণ ছোটবেলা থেকেই ছিল। ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করে সেটি পরে আরও ব্যাপ্তি লাভ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (ইংরেজি) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তিনি বর্তমানে একটি কলেজে অধ্যাপনায় নিয়োজিত আছেন। ঢাকা বইমেলা’২০২২ এ তার একটি একক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা, সাহিত্য ম্যাগাজিন ও সংকলন গ্রন্থে তার কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হয়।